মারামারি প্রস্তুতির আগে মুরুব্বিরা যুবকদেরকে মানুষ মারার নিয়ম কানুন বলে দেন

 

গতকাল ১৬/১১/২০১৮ নরসিংদী জেলার রায়পুরা, শ্রীনগর ইউনিয়নে গজারিয়া কান্দি গ্রামে বাঁশগাড়িতে জমি দখল করা নিয়ে এমনই সেজেগুজে টেঁটা বল্লম পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পড়ে গ্রামের লোকজন এভাবেই মানুষ মারার লড়াই করেছে। যেটা তাদের পুরোনো ঐতিহ্য।

কুঁচ-বর্শা দিয়ে যেভাবে মাছ শিকার করা হয় ঠিক তেমন ভাবেই টেঁটা বিদ্ধ করে মারা হয় তাদেরকে। শুধুমাত্র এই নিষ্ঠুর নোংরামির জন্যে সারা দেশে আমরা লজ্জিত অপমানিত।

মারামারি প্রস্তুতির আগে, দোয়া করা হয়। মুরুব্বিদের কাছ থেকে শেষ বিদায় নেওয়া হয়। মুরুব্বিরা তরুণ যুবকদেরকে মানুষ মারার নিয়ম কানুন বলে দেন।

গরু জবাই হয়েছে। তিন চার’শ লোক উৎসবের মতো খাচ্ছে। খাওয়া-দাওয়া করে সবাই টেঁটা বল্লম নিয়ে শিকারে বের হবে। তবে কোন বাঘ হরিণ শিকার নয়, মানুষ শিকার।

যেটা যুগ যুগ ধরে নরসিংদী / ব্রাক্ষণবাড়িয়া / কিশোরগঞ্জ এলাকায় চলে আসছে। সর্বশেষ তারা চারজন মানুষকে নির্মমভাবে খুন করে গতকাল ১৬/১১/২০১৮।

এসব নৃশংসতা, হত্যার প্রধান কারণ:

** নষ্ট রাজনীতি।

**স্হানীয় নেতাদের ক্ষমতার দাপট।

**চর/জমি দখল।

**দীর্ঘ দিনের শত্রুতা।

**উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা।

**লুটপাট করা।

**পুরোনো আমলের ঝগড়ার প্রতিশোধ।

 

অথচ সারা বাংলাদেশে গর্বিত সন্তানের এই রায়পুরে:

** আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি শামসুর রাহমানের বাড়ি,

** বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান

** বিশ্ববিখ্যাত চিত্র শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ

** সাবেক মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু

** সাবেক ঢা:বি:ভিসি আ.আ.ম.স. আরেফিন সিদ্দিক

** ইউনেস্কো পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক ড.আলাউদ্দিন আল আজাদ,

** বরেণ্য কৃষকনেতা ফজলুল হক খন্দকারের বাড়ি

 

জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন:

তবে কেনো আমরা এতোকাল এই লজ্জা বয়ে বেড়াচ্ছি ?

আমরা আর কতকাল অমানুষ জানোয়ার হয়ে থাকবো ?

কবে এইসব এলাকার মানুষ জানয়ার থেকে সুস্থ হবে ?

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.