রাজশাহী বিভাগ


রাজশাহী বিভাগ নামকরণ

Rajshahi-division-map

রাজশাহী বিভাগে মোট ৮টি জেলা রয়েছে। এগুলো হলোঃ

১. বগুড়া জেলাঃ

১২৮১-১২৯০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লরি সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবনের ২য় পুত্র সুলতান নাসিরউদ্দীন বগরা খান

বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। তাঁর নামানুসারে বগুড়া জেলার নামকরণ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠিত সাল:

১৮২১ সালে।

আয়তন :

 ২৮৯৮.২৫ বর্গ কিঃ মিঃ

উপজেলাসমূহ:

  • আদমদিঘী উপজেলা
  • বগুড়া সদর উপজেলা
  • ধুনট উপজেলা
  • ধুপচাঁচিয়া উপজেলা
  • গাবতলী উপজেলা
  • কাহালু উপজেলা
  • নন্দীগ্রাম উপজেলা
  • সারিয়াকান্দি উপজেলা
  • শেরপুর উপজেলা
  • শিবগঞ্জ উপজেলা
  • সোনাতলা উপজেলা
  • শাজাহানপুর উপজেলা

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ

  • বগুড়ার শহীদ মিনার
  • মহাস্থানগড়
  • গোকুল মেধ, ৭০০ খৃস্টাব্দ।
  • ভাসু বিহার, ৪০০ খৃস্টাব্দ।
  • যোগীর ভবণ, ১৫০০ খৃস্টাব্দ। ‍‍‌
  • বিহার, ৮০০ খৃস্টাব্দ।
  • ভীমের জাঙ্গাল, ১১০০ খৃস্টাব্দ।
  • খেরুয়া মসজিদ, শেরপুর।
  • নবাব বাড়ী (সাবেক নীল কুঠির)।
  • বগুড়ার একমাত্র বিমানবন্দরটি

বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ

  • মহাস্থানগড়
  • বগুড়ার শহীদ মিনার
  • কেল্লাপোষী মেলা

আধুনিক স্থাপত্যঃ

পরে জানানো হবে

ওয়েবসাইট:

http://www.bogra.gov.bd/

>

২. জয়পুরহাট জেলাঃ

জয়পুরহাট গৌড় পাল ও সেন রাজার রাজত্ব ছিলো জয়পুরহাটে। ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে জানা যায় ধর্মপাল দীর্ঘদিন নওগাঁ ও জয়পুরহাট নিয়ে রাজত্ব করেন। তার অপরূপ দৃষ্টান্ত জয়পুরহাট সংলগ্ন বৌদ্ধ বিহার (পাহাড়পুর) নওগাঁ জেলার মধ্যে স্থাপন করে। ধর্মপালের পর তার দ্বিতীয় ভ্রাতৃদ্বয় দেবপাল রাজা হয়। দেব পালের পর তার পাল রাজ সম্রাজ্যের রাজা হয় জয়পাল। তবে ইতিহাসে জানা যায়নি জয়পালের সঙ্গে দেবপালের কি সম্পর্ক। এই জয়পাল রাজার নামেই জয়পুরহাট জেলার নাম জয়পুর নামকরণ করা হয় ১৮০০ সালের দিকে। তার পূর্বে এর নাম ছিলো গোপেন্দ্রগঞ্জ। ১৮৫৭ থেকে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ১৮৮৪সালে জলপাইগুড়ি হতে কলকাতা পর্যন্ত ২৯৬ মাইল রেললাইন স্থাপন করা হয় এবং মালামাল রপ্তানির জন্য ৪-৭মাইল পর পর স্টেশন স্থাপন করা হয়। এই সময় ভারতবর্ষে পূর্বেই আরেকটা জয়পুর স্টেশন ছিলো যা এখনো রয়েছে তাই ভারত সরকার সে সময় জয়পুরের সঙ্গে হাট যুক্ত করে জয়পুরহাট স্টেশন নামকরন করে সেই অনুসারে জেলার নামকরণ জয়পুরহাট বলেই প্রচলিত হয় ও সরকারি রেজিস্টারেও যুক্ত হয়। হাট যুক্ত করার কারন হচ্ছে জয়পুরহাট স্টেশনের পাশেই ছিলো ছোট যমুনা যেখানে বসতো মূল বাজার এই বাজারকে বলা হতো যমুনার হাট।

প্রতিষ্ঠিত সাল:

১৯৮৪ সালে।

আয়তন :

৯৬৫.৪৪  বর্গ কিঃ মিঃ

উপজেলাসমূহ:

  • পাঁচবিবি উপজেলা
  • কালাই উপজেলা
  • ক্ষেতলাল উপজেলা
  • আক্কেলপুর উপজেলা
  • জয়পুরহাট সদর উপজেলা

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ

  • বেল আমলা বার শিবালয় (শিব মন্দির),জয়পুরহাট সদর
  • পাথরঘাটা মাজার, পাঁচবিবি
  • লকমা রাজবাড়ি, পাঁচবিবি
  • ভীমের পান্টি, মঙ্গলবাড়ি, জয়পুরহাট সদর
  • দুয়ানী ঘাট, জয়পুরহাট সদর
  • গোপীনাথপুর মন্দির, আক্কেলপুর
  • হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ, ক্ষেতলাল
  • নিমাই পীরের মাজার, পাথরঘাটা, পাঁচবিবি
  • আছরাঙ্গা দীঘী
  • নন্দাইল দীঘি, কালাই।
  • বাস্তবপুরী, জয়পুরহাট
  • হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ, ক্ষেতলাল;
  • আছরাঙ্গা দীঘী, ক্ষেতলাল;
  • লোখমা জমিদার বাড়ি, পাঁচবিবি;
  • নিমাই পীর মাজার, পাথরঘাটা, পাঁচবিবি;
  • গোপীনাথপুর মন্দির, আক্কেলপুর;
  • বার শিবালয় মন্দির,জয়পুরহাট;
  • দুয়ানী ঘাট, জয়পুরহাট সদর।

বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ

  • শিশু উদ্যান,জয়পুরহাট।
  • পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি, জয়পুরহাট সদর
  • ছোট যমুনা নদী
  • তুলসী গঙ্গা নদী
  • হারাবতি নদী
  • সিরি নদী

আধুনিক স্থাপত্যঃ

পরে জানানো হবে

ওয়েবসাইট:

http://www.joypurhat.gov.bd/

৩. নওগাঁ জেলাঃ

নওগাঁ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ‘নও'(নুতুন) ও ‘গাঁ (গ্রাম) শব্দ থেকে শব্দ দুটি ফরাসী। নওগাঁ শব্দের অর্থ হলো নুতুন গ্রাম। ১৯৮৪ সালে ১ মার্চ নওগাঁ ১১ টি উপজেলা নিয়ে জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

প্রতিষ্ঠিত সাল:

১৯৮৪ সালে।

আয়তন :

  বর্গ কিঃ মিঃ

উপজেলাসমূহ:

  • পত্নীতলা উপজেলা
  • ধামুরহাট উপজেলা
  • মহাদেবপুর উপজেলা
  • পরশা উপজেলা
  • সাপাহার উপজেলা
  • বদলগাছী উপজেলা
  • মান্দা উপজেলা
  • নিয়ামতপুর উপজেলা
  • আত্রাই উপজেলা
  • রানীনগর উপজেলা
  • নওগাঁ সদর উপজেলা

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ

  • পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
  • কুসুম্বা মসজিদ
  • বলিহার রাজবাড়ী
  • রঘুনাথ মন্দির- ঠাকুরমান্দা।
  • জগদ্দল বিহার
  • দিব্যক জয়স্তম্ভ
  • পতীসরː রবি ঠাকুরের কুঠি বাড়ী
  • ভীমের পানটি
  • আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান

বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ

  • পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
  • আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান
  • বলিহার রাজবাড়ী
  •  কুসুম্বা মসজিদ
  • রঘুনাথ মন্দির-ঠাকুরমান্দা

আধুনিক স্থাপত্যঃ

  • বিজয় মুক্তযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ।
  • পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
  • বলিহার রাজবাড়ী

ওয়েবসাইট:

http://www.naogaon.gov.bd/

৪. নাটোর জেলাঃ

নাটোর জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নারদ নদী কথিত আছে এই নদীর নাম থেকেই ‘নাটোর’ শব্দটির উৎপত্তি। ভাষা গবেষকদের মতে নাতোর হচ্ছে মুল শব্দ। উচ্চারণগত কারণে নাটোর হয়েছে। নাটোর অঞ্চল নিম্নমুখী হওয়ায় চলাচল করা ছিল প্রায় অসম্ভব। জনপদটির দুর্গমতা বোঝাতে বলা হত নাতোর। নাতোর অর্থ দুর্গম। আরেকটি জনশ্রুতি আছে জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতার আমোদ-প্রমোদের জন্য গড়ে উঠেছিল বাইজিবাড়ি, নটিপাড়া জাতীয় সংস্কৃতি। এই নটি পাড়া থেকে নাটোর শব্দটির উৎপদ্দি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে নাটোর পূর্ণাঙ্গ জেলা লাভ করে।

প্রতিষ্ঠিত সাল:

১৯৮৪ সালে।

আয়তন :

  ১৮৯৬.০৫ বর্গ কিঃ মিঃ

উপজেলাসমূহ:

  • নাটোর সদর উপজেলা
  • বাগাতিপাড়া উপজেলা
  • বরাইগ্রাম উপজেলা
  • গুরুদাসপুর উপজেলা
  • লালপুর উপজেলা
  • সিংড়া উপজেলা
  • নলডাঙ্গা উপজেলা

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ

  • উত্তরা গণভবনের প্রবেশদ্বার
  • নাটোর রাজবাড়ি
  • উত্তরা গণভবন
  • চলনবিলে সূর্যোদয়
  • নাটোর রাজবাড়ী
  • চলনবিলে সূর্যাস্ত
  • নাটোরের কাঁচাগোল্লা
  • চলন বিলের একাংশ
  • পদ্মার চর, লালপুর
  • পদ্মার তীর, লালপুর
  • গ্রীন ভ্যালি পার্ক, লালপুর
  • শহীদ সাগর, লালপুর
  • ভেল্লাবাড়ি মসজিদ, লালপুর
  • গোসাই আশ্রম, লালপুর
  • বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি
  • চলনবিল জাদুঘর
  • হালতি বিল
  • ধরাইল জমিদার বাড়ি
  • লুর্দের রানী মা মারিয়ার ধর্মপল্লী, নাটোর

বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ

  • শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ
  • উত্তরা গণভবনের প্রবেশদ্বার
  • নাটোর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট
  • হালতি বিলে পাট ক্ষেত
  • হালতির বিল

আধুনিক স্থাপত্যঃ

  • শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ
  • বুধপাড়া কালীমন্দির, লালপুর

ওয়েবসাইট:

http://www.natore.gov.bd/

৫. চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাঃ

‘চাপাইনবাবগঞ্জ’ নামটি সাম্প্রতিকালের।এই এলাকা ‘নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল। চাঁপাইগঞ্জ নামকরণ সম্পর্কে জানা যায়, প্রাক-ব্রিটিশ আমলে এ অঞ্চল ছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের বিহারভূমি এবং এর অবস্থান ছিল বর্তমান সদর উপজেলার দাউদপুর মৌজায়। নবাবরা তাঁদের পাত্র-মিত্র ও পরিষদ নিয়ে এখানে শিকার করতে আসতেন বলে এ স্থানের নাম হয় নবাবগঞ্জ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামের ইতিবৃত্ত নবাব আমলে মহেশপুর গ্রামে চম্পাবতী মতান্তরে ‘চম্পারানী বা চম্পাবাঈ’ নামে এক সুন্দরী বাঈজী বাস করতেন। তাঁর নৃত্যের খ্যাতি আশেপাশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি নবাবের প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠেন। তাঁর নামানুসারে এই জায়গার নাম ‘চাঁপাই”। এ অঞ্চলে রাজা লখিন্দরের বাসভূমি ছিল। লখিন্দরের রাজধানীর নাম ছিল চম্পক। চম্পক নাম থেকেই চাঁপাই। ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি) ‘বাঙলা সাহিত্যের কথা’ গ্রন্থের প্রথম খন্ডে বর্ণিত লাউসেনের শত্রুরা জামুতিনগর দিয়ে গৌড়ে প্রবেশ করে। বর্তমান ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া পূর্বে জামুতিনগর নামে পরিচিত ছিল। এসবের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো গবেষক চাঁপাইকে বেহুলার শ্বশুরবাড়ি চম্পকনগর বলে স্থির করেছেন এবং মত দিয়েছেন যে, চম্পক নাম থেকেই চাঁপাই নামের উৎপত্তি।

প্রতিষ্ঠিত সাল:

১৯৮৪ সালে।

আয়তন :

  ১৭০২.৫৬ বর্গ কিঃ মিঃ

উপজেলাসমূহ:

  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা
  • গোমস্তাপুর উপজেলা
  • শিবগঞ্জ উপজেলা
  • নাচোল উপজেলা
  • ভোলাহাট উপজেলা

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ

  • তোহাখানা
  • শাহ নেয়ামতুল্লাহ এর মাজার
  • চামচিকা মসজিদ
  • দারাসবাড়ি মসজিদ
  • ধানিয়াচক মসজিদ
  • স্বপ্নপল্লী
  • নাচোল রাজবাড়ী
  • মহানন্দা নদী
  • ছোট সোনা মসজিদ
  • ছোট সোনা মসজিদ পার্ক
  • বাবুডাইং
  • রহনপুর নওদা বুরুজ
  • গোয়াইন বাধ ৭ টি*
  • কানসাটের জমিদার বাড়ি
  • কাজী জালালের আম বাগান

বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ

  • এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  • নীলকুঠি
  • মহানন্দা নদী
  • শুড়লার তেঁতুল গাছ
  • স্বপ্ন পল্লী পার্ক
  • টাংঘন পিকনিক পার্ক

আধুনিক স্থাপত্যঃ

পরে জানানো হবে

ওয়েবসাইট:

http://www.chapainawabganj.gov.bd/

৬. পাবনা জেলাঃ

‘পাবনা’ নামকরণ নিয়ে কিংবদন্তির অন্ত নেই। এক কিংবদন্তি মতে গঙ্গার ‘পাবনী’ নামক পূর্বগামিনী ধারা হতে পাবনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। অপর একটি সূত্রে জানা যায় ‘পাবন’ বা ‘পাবনা’ নামের একজন দস্যুর আড্ডাস্থলই এক সময় পাবনা নামে পরিচিতি লাভ করে। অপরদিকে কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, ‘পাবনা’ নাম এসেছে ‘পদুম্বা’ থেকে। কালক্রমে পদুম্বাই স্বরসঙ্গতি রক্ষা করতে গিয়ে বা শব্দগত অন্য ব্যুৎপত্তি হয়ে পাবনা হয়েছে। ‘পদুম্বা’ জনপদের প্রথম সাক্ষাৎ মিলে খ্রিষ্টীয় একাদশ শতকে পাল নৃপতি রামপালের শাসনকালে।

প্রতিষ্ঠিত সাল:

১৯৮৪ সালে।

আয়তন :

  বর্গ কিঃ মিঃ

উপজেলাসমূহ:

  • আটঘরিয়া উপজেলা
  • ঈশ্বরদী উপজেলা
  • চাটমোহর উপজেলা
  • পাবনা সদর উপজেলা
  • ফরিদপুর উপজেলা
  • বেড়া উপজেলা
  • ভাঙ্গুরা উপজেলা
  • সাঁথিয়া উপজেলা
  • সুজানগর উপজেলা

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ

  • লালন শাহ্ সেতু (ঈশ্বরদী),
  • হার্ডিঞ্জ ব্রীজ (ঈশ্বরদী),
  • পাবনা মানসিক হাসপাতাল
  • জোড় বাংলা মন্দির
  • তাড়াশ ভবন,
  • শাহী মসজিদ, চাটমোহর,
  • জোড় বাংলা মাজার ভাঙ্গুড়া,
  • সমাজ শাহী মসজিদ,
  • আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি (দুলাই),
  • শাহী মসজিদ (ভাড়ারা),
  • নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস
  • পাবনা সুগার মিল্স (ঈশ্বরদী),
  • সাঁড়া ঘাট
  • ঈশ্বরদী বিমানবন্দর
  • নগরবাড়ী ঘাট (আমিনপুর),
  • স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল (শহর/বিসিক শিল্প নগরী),
  • পাকশী
  • প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক (জালালপুর),
  • দুবলিয়া মেলা (দুর্গা পুজার সময়)
  • বড়াল ব্রীজ
  • দীঘিরপিঠা (ফরিদপুর্‌),
  • রাজা রায় বাহাদুরের বাড়ি (ফরিদপুর্‌),
  • বেরুয়ান জামে মসজিদ (আটঘরিয়া)
  • বেড়া পাম্প স্টেশন (বেড়া)
  • বেড়া পোর্ট(বর্ষার সময়)
  • কাশেম মোড়, রাখালগাছী (আমিনপুর)

বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ

  • ঐতিহাসিক তাড়াশ ভবন
  • কাঞ্চন পার্ক (সুজানগর),
  • খয়রান ব্রীজ (সুজানগর),
  • পাকশী রিসোর্ট

আধুনিক স্থাপত্যঃ

  • বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র (ঈশ্বরদী)
  • শ্রী শ্রী অনুকৃল চন্দ্র ঠাকুরের আশ্রম (হেমায়েতপুর)
  • রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ওয়েবসাইট:

http://www.pabna.gov.bd/

৭. রাজশাহী জেলাঃ

এই জেলার নামকরণ নিয়ে প্রচুর মতপার্থক্য রয়েছে। তবে ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়র মতে রাজশাহী রাণী ভবানীর দেয়া নাম। অবশ্য মিঃ গ্রান্ট লিখেছেন যে, রাণী ভবানীর জমিদারীকেই রাজশাহী বলা হতো এবং এই চাকলার বন্দোবস্তের কালে রাজশাহী নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। পদ্মার উত্তরাঞ্চল বিস্তীর্ন এলাকা নিয়ে পাবনা পেরিয়ে ঢাকা পর্যন্ত এমনকি নদীয়া, যশোর, বর্ধমান, বীরভূম নিয়ে এই এলাকা রাজশাহী চাকলা নামে অভিহিত হয়। অনুমান করা হয় ‘রামপুর’ এবং ‘বোয়ালিয়া’ নামক দু’টি গ্রামের সমন্বয়ে রাজশাহী শহর গ’ড়ে উঠেছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘রামপুর-বোয়ালিয়া’ নামে অভিহিত হলেও পরবর্তীতে রাজশাহী নামটিই সর্ব সাধারণের নিকট সমধিক পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে আমরা যে রাজশাহী শহরের সঙ্গে পরিচিত, তার আরম্ভ ১৮২৫ সাল থেকে। রামপুর-বোয়ালিয়া শহরের নামকরণ রাজশাহী কী করে হলো তা নিয়ে বহু মতামত রয়েছে। রাজাশাহী শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দুটি ভিন্ন ভাষার একই অর্থবোধক দুটি শব্দের সংযোজন পরিলতি হয়। সংস্কৃত ‘রাজ’ ও ফারসি ‘শাহ’ এর বিশেষণ ‘শাহী’ শব্দযোগে ‘রাজশাহী’ শব্দের উদ্ভব, যার অর্থ একই অর্থাৎ রাজা বা রাজা-রাজকীয় বা বা বাদশাহ বা বাদশাহী। তবে বাংলা ভাষায় আমরা একই অর্থের অনেক শব্দ দু-বার উচ্চারণ করে থাকি। যেমন– শাক-সবজি, চালাক-চতুর, ভুল-ভ্রান্তি, ভুল-ত্র“টি, চাষ-আবাদ, জমি-জিরাত, ধার-দেনা, শিক্ষা-দীক্ষা, দীন-দুঃখী, ঘষা-মাজা, মান-সম্মান, দান-খয়রাত, পাহাড়-পর্বত, পাকা-পোক্ত, বিপদ-আপদ ইত্যাদি। ঠিক তেমনি করে অদ্ভূত ধরনের এই রাজশাহী শব্দের উদ্ভবও যে এভাবে ঘটে থাকতে পারে তা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। এই নামকরণ নিয়ে অনেক কল্পকাহিনীও রয়েছে। সাধারণভাবে বলা হয় এই জেলায় বহু রাজা-জমিদারের বসবাস, এজন্য এ জেলার নাম হয়েছে রাজশাহী। কেউ বলেন রাজা গণেশের সময় (১৪১৪-১৪১৮) রাজশাহী নামের উদ্ভব। ১৯৮৪ সালে রাজশাহীর ৪টি মহকুমাকে নিয়ে রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর এবং নবাবগঞ্জ- এই চারটি স্বতন্ত্র জেলায় উন্নীত করা হয়।

প্রতিষ্ঠিত সাল:

১৯৮৪ সালে।

আয়তন :

  ২৪০৭.০১ বর্গ কিঃ মিঃ

উপজেলাসমূহ:

  • বাঘা উপজেলা
  • পুঠিয়া উপজেলা
  • পবা উপজেলা
  • বাগমারা উপজেলা
  • তানোর উপজেলা
  • মোহনপুর উপজেলা
  • চারঘাট উপজেলা
  • গোদাগারী উপজেলা
  • দূর্গাপুর উপজেলা

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ

  • পুঠিয়া রাজবাড়ি, রাজশাহী
  • রাণী ভবানী
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,
  • রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
  • রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ

  • পুঠিয়া রাজবাড়ি, রাজশাহী

আধুনিক স্থাপত্যঃ

পরে জানানো হবে

ওয়েবসাইট:

http://www.rajshahi.gov.bd/

৮. সিরাজগঞ্জ জেলাঃ

বেলকুচি থানায় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামক এক ভূস্বামী (জমিদার) ছিলেন। তিনি তাঁর নিজ মহালে একটি ‘গঞ্জ’ স্থাপন করেন। তাঁর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ। কিন্তু এটা ততটা প্রসিদ্ধি লাভ করেনি। যমুনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে ক্রমে তা নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ক্রমশঃ উত্তর দিকে সরে আসে। সে সময় সিরাজউদ্দীন চৌধুরী ১৮০৯ সালের দিকে খয়রাতি মহল রূপে জমিদারী সেরেস্তায় লিখিত ভুতের দিয়ার মৌজা নিলামে খরিদ করেন। তিনি এই স্থানটিকে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান স্থানরূপে বিশেষ সহায়ক মনে করেন। এমন সময় তাঁর নামে নামকরণকৃত সিরাজগঞ্জ স্থানটি পুনঃ নদীভাঙ্গণে বিলীণ হয়। তিনি ভুতের দিয়ার মৌজাকেই নতুনভাবে ‘সিরাজগঞ্জ’ নামে নামকরণ করেন। ফলে ভুতের দিয়ার মৌজাই ‘সিরাজগঞ্জ’ নামে স্থায়ী রূপ লাভ করে।

প্রতিষ্ঠিত সাল:

১৯৮৪ সালে।

আয়তন :

  বর্গ কিঃ মিঃ

উপজেলাসমূহ:

  • উল্লাপাড়া উপজেলা
  • কাজীপুর উপজেলা
  • কামারখন্দ উপজেলা
  • চৌহালি উপজেলা
  • তাড়াশ উপজেলা
  • বেলকুচি উপজেলা
  • রায়গঞ্জ উপজেলা
  • শাহজাদপুর উপজেলা
  • সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ

  • বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু
  • যমুনা সেতুর দুই পাড়,
  • সায়েদাবাদ;
  • শাহজাদপুর;
  • এনায়েতপুরী পীর সাহেবের মাজার এবং মসজিদ,
  • চৌহালি;
  • তারাশ;
  • নবরত্ন মন্দির,
  • উল্লাপাড়া;
  • ইলিওট ব্রিজ যা লোহার ব্রিজ বা বড় পুল নামে পরিচিত

বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ

  • বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু
  • শিব মন্দির,
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুটিবাড়ী

আধুনিক স্থাপত্যঃ

পরে জানানো হবে

ওয়েবসাইট:

http://www.sirajganj.gov.bd/